Braking News

6/recent/ticker-posts

শিক্ষকদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পরিবর্তে নতুন নিয়ম



বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের (সরকারি কলেজের শিক্ষক) টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ অধ্যাপককে স্থায়ী পদোন্নতি দিয়ে গ্রেড-৩ এ উন্নীত করা হবে। আর সব প্রথম শ্রেণির চাকরির শুরুতে বেতন হবে নবম গ্রেডে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্তগুলো হয়। সভাশেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও অর্থ সচিব মাহাবুব আহমেদ সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সরকারি কলেজের শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থ সচিব বলেন, আগে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যেও চতুর্থ গ্রেডের ৫০ শতাংশ সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পেয়ে তৃতীয় গ্রেডে যেতে পারতেন। এখন ৫০ শতাংশকে স্থায়ী পদোন্নতির মাধ্যমে দেওয়া হবে।

বৈঠকশেষে অর্থ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম শ্রেণির চাকরি শুরুর পদটি হবে নবম গ্রেড। কারও কারও পদ নতুন পে-স্কেলে অষ্টম গ্রেডে এবং কারও কারও নবম গ্রেডে হয়েছিল। এতে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এখন ক্যাডার কর্মকর্তা এবং প্রথম শ্রেণিতে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সবাই নবম গ্রেডে হবেন। তবে এসব কর্মকর্তাদের একটি বার্ষিক প্রবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) দিয়ে বেতন নির্ধারণ করা হবে।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে সমাধানে পৌঁছেছি। একটি বিষয় নিয়ে তাঁদের (শিক্ষকদের) দ্বিমত আছে। পরবর্তী সভায় তাঁদের চার পাঁচজনকে বৈঠকে রাখা হবে। সেখানে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হবে।

এ ব্যাপারে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতা ও ঢাকা কলেজের শিক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এটা কোনওভাবেই মানা যাবে না।’ ‘আজকের বৈঠকের এ সিদ্ধান্তই যদি চূড়ান্ত হয় তবে আমরাও আন্দোলন চালিয়ে যাব। কোনওভাবেই এটা মানা যাবে না।’ তিনি বলেন, পদোন্নতির মাধ্যমে তৃতীয় গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষা ক্যাডারের প্রতি নির্ভেজাল বৈষম্য।

Post a Comment

0 Comments