Braking News

6/recent/ticker-posts

পদ হারাচ্ছেন প্রাথমিকের ১৬ হাজার প্রধান শিক্ষক

জাতীয়করণের আওতাভুক্ত হওয়ায় নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনরত প্রধান শিক্ষকের পদ হারাচ্ছেন প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক। দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়কে গত ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত ২২ হাজার ১৮৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষকরা আর এ পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে এমপিওভুক্তির বাইরে থাকা প্রায় চার হাজার বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষকরাও আর এ পদে থাকতে পারছেন না। জাতীয়করণের ঘোষণার প্রায় আড়াই মাস পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির (নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও কল্যাণ) নীতিমালা স্পষ্ট করে গতকাল পরিপত্র জারির পর এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। এদিকে প্রধান শিক্ষকের পদ হারাতে যাওয়া শিক্ষকরা জানান, আজকালের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মামলা করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির এ বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না সরকারের আওতায় আসা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৫ শিক্ষক। গতকাল জারি করা পরিপত্রের তথ্যানুযায়ী, জাতীয়করণের আওতায় আসার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির নীতিমালার সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ীই নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির আর কোনো সুযোগ নেই। এখন থেকে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ীই জাতীয়করণের আওতায় আসা সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের পর এগুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তা স্পষ্ট করতেই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। মোহাম্মদ আবুল কালাম স্বাক্ষরিত গতকাল জারি করা পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি (নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও কল্যাণ) নীতিমালা ২০০৯-এ সংযোজিত নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মানদণ্ড নির্ধারণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) সুপারিশের ভিত্তিতে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার সরকারের বিদ্যমান সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষকের যোগ্যতা যাচাই করবেন। সরকারের বিদ্যমান সর্বশেষ নির্দেশনা বলতে এ নীতিমালায় বর্ণিত নির্দেশনাই বোঝাবে। তবে নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গত ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গত ৩১ ডিসেম্বরের পর এ নীতিমালার আলোকে শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সূত্রঃ দৈনিক সকালের খবর

Post a Comment

0 Comments