
বেতন বৈষম্য নিয়ে অসন্তোষ নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকদের এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালকরা সব মন্ত্রণালয়কে সোমবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিসেম্বরে অস্টম জাতীয় বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরই বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দফতরের কর্মচারী এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এর ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ নির্দেশনা পাঠানো হল সব মন্ত্রণালয়ে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ারকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের মনোভাব জানিয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন। এরপর কবির বিন আনোয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সব পরিচালককে বিষয়টি জানান। পরিচালকদের বলা হয়, তারা নিজ দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বেতন বৈষম্য নিয়ে কথা বলে আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন।
মন্ত্রণালয়গুলোকে বলা হয়, তাদের অধীনস্ত দফতর বা প্রতিষ্ঠানে যে আন্দোলন চলছে তাদের কাছ থেকে বেতন বৈষম্য নিরসনসংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব পেয়েছে কিনা? বা এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছে কিনা- যদি কোনো প্রস্তাব না পেয়ে থাকেন তাহলে তাদের সঙ্গে কথা বলে যেন লিখিত দাবি সংগ্রহ করা হয়। সেক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়কে। অনুরূপভাবে অন্য মন্ত্রণালয়গুলো তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করবে।
0 Comments