Braking News

6/recent/ticker-posts

সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল ও ইনক্রিমেন্ট বৈষম্য



২০১০ সালে সরকারি হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে পোস্টিংয়ের অপেক্ষায় আছি। এমন সময় জানতে পারলাম, শিক্ষক সংকটের কারণে সাধারণ কোটায় নির্বাচিতদের আগে পোস্টিং দেয়া হবে এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিতদের পুলিশি তদন্তের পর পোস্টিং দেয়া হবে। করাও হল তাই।

সাধারণ কোটায় নির্বাচিতরা ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে যোগদান করল। আর আমরা তদন্ত শেষে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে যোগদান করলাম। চাকরির শুরুতেই ৩ মাসের জুনিয়র হয়ে পড়লাম।

এবার বৈষম্যের চূড়ান্ত পালা। সাধারণ কোটায় শিক্ষকরা প্রতিবছর অক্টোবর মাসে একটি করে ইনক্রিমেন্ট পায় আর আমরা পাই ৩ মাস পর জানুয়ারিতে।

২০১৫ সালেও তারা অক্টোবরে ইনক্রিমেন্ট পেয়েছে আর আমরা! ইতিমধ্যে সরকার সিলেকশন, টাইম স্কেল, ইনক্রিমেন্ট সব বাতিল করেছে। চাকরির মেয়াদ এবং বেতন দুটোতেই তারা এগিয়ে রইল।

এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে। ২০১৬ সালের ১৫ মে আমাদের চাকরির মেয়াদ ৪ বছর পূর্ণ হওয়ায় (২য় শ্রেণির গেজেটেড হিসেবে) ১ম সিলেকশন পাওয়ার কথা। কিন্তু এখানেও সেই বৈষম্য। একই অর্থবছরে ১ম ৬ মাসের (১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত) একই স্মারকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও কেউ টাইম স্কেল, সিলেকশন পাবে আর কেউ পাবে না। এখন কাকে দোষ দেব? নিজের কপালকে, মুক্তিযোদ্ধা বাবাদের, কর্তৃপক্ষকে না সরকারকে?

চাকরি না পেতাম তাও মনকে বোঝাতে পারতাম। এভাবে বৈষম্যের শিকার তো হতে হতো না। নিজেদের সহকর্মীর অনেকেই বলছে, এটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উপহার! এর কি প্রতিকার নেই।

Post a Comment

0 Comments