Braking News

6/recent/ticker-posts

আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি থেকে কর্মসূচি স্থগিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। তাঁদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আজ ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। কিন্তু দাবিদাওয়ার অগ্রগতির ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষকরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষক ফেডারেশনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই পরবর্তী কর্মসূচির ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে পদমর্যাদার অবনমন ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে ৯ মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত ১১ জানুয়ারি থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যান। তবে ১৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ২০ জানুয়ারি থেকে ক্লাসে ফিরে যান তাঁরা। ১৯ জানুয়ারি ফেডারেশনের সর্বশেষ বৈঠকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাবির ব্যাপারে সরকারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন বলে জানান। এর মধ্যে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হলে আবারও কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষকরা।

শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল গতকাল বলেন, ‘কাল (আজ) আমাদের সভা করার কথা ছিল। সেটা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা কর্মসূচি স্থগিতের পর সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। পুরো ব্যাপারেই আমরা অন্ধকারে আছি। ফেডারেশনের সভায় এ বিষয়ে আলোচনার পর কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ক্লাস বর্জনের হুমকি সরকারি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের : এদিকে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ অষ্টম গ্রেডে এবং সিনিয়র শিক্ষকদের পদ নবম গ্রেডে নেওয়াসহ বকেয়া টাইম স্কেল প্রদানের দাবিতে এবার ক্লাস বর্জনের হুমকি দিলেন শিক্ষকরা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই হুমকি দেয় বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ২০ মার্চের পর সংবাদ সম্মেলন করে ক্লাস বর্জন অথবা কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমিতির আহ্বায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, মোহাম্মদ আলী বেলাল, আশরাফুল হক ভূঁইয়া, এম এ মতিন প্রমুখ।

শিক্ষকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—পদোন্নতির সুযোগ কম থাকায় ১৬ বছরে তিনটি টাইম স্কেল অথবা বিকল্প সুবিধা প্রদান, পাঁচ হাজার সহকারী শিক্ষকের বকেয়া টাইম স্কেল প্রদান, সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি।

Post a Comment

0 Comments