Braking News

6/recent/ticker-posts

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘পুল শিক্ষক’ পদে নিয়োগ



২০১২ সালের আগস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম; কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করেছে। দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে, ‘পুল শিক্ষক’ নিয়োগ নীতিমালা ২০১৪-তে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রয়োজনে’ এদের স্থায়ীকরণ করা হবে। কিন্তু এ নীতিমালা মোটের ওপর দায়সারা বলেই প্রতীয়মান হয়।

নীতিমালার শর্তগুলো হলো- ১. নিয়োগ কখনো স্থায়ী হবে না, ২. সম্মানীভাতা হবে ছয় হাজার টাকা, ৩. একনাগাড়ে সাত দিন অনুপস্থিত থাকলে নিয়োগ বাতিল হয়ে যাবে, ৪. শিক্ষকেরা সরকারি ছুটি ছাড়া অন্য কোনো ছুটি ভোগ করতে পারবেন না এবং ৫. ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে; তবে প্রয়োজনে মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

অর্থাৎ এ নীতিমালায় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি। যেখানে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন আট হাজার টাকা, সেখানে পুল শিক্ষকের বেতন মাত্র ছয় হাজার টাকা।

আমরা ২০১২ সালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলাম। ৪ জুলাই ২০১৪ বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সরকারের প্রতিশ্রুতিতে আমরা আশায় বুক বেঁধে ছিলাম। আমাদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ দিকে জাতীয় বেতন স্কেলে সবার বেতন বাড়ছে। আমরা কি এই ছয় হাজার টাকা বেতনেই চাকরি করতে বাধ্য হবো? এটা পুরো শিক্ষকসমাজেরই অপমান বলে মনে করি। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা না দিলেও স্থায়ীকরণ করা হয়েছে শিক্ষকদের, অথচ আমরা পরীক্ষা দিয়েও স্থায়ী নিয়োগ পাচ্ছি না।

হাইকোর্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার জন্য, কিন্তু নিয়োগ দেয়া হয়নি। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হোক।

Post a Comment

0 Comments