Braking News

6/recent/ticker-posts

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখা প্রসঙ্গে



সরকার ঘোষিত ৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোয় (পে স্কেল) বিভিন্ন পর্যায়ের চাকরিজীবীদের মধ্যে বৈষম্যের পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে, যা পে-ফিক্সেশনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

একই স্মারকে নিয়োগ পেয়েও একজন এক দিন আগে যোগদান করে টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড বা একটি ইনক্রিমেন্ট বেশি পেয়েছে। আরেকজন এক দিন পরে যোগদান করায় অনেকেই এগুলো পাওয়া তেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দু'জনের ভেতরে বৈষম্যের দেয়াল গড়ে উঠেছে। অনেক জুনিয়র ও সিনিয়রের বেতন এক হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে জুনিয়ররা বেশি বেতন পাচ্ছে।

ক্যাডার সার্ভিস নবম থেকে অষ্টম গ্রেডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তিন বছর পরে ধাপ পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের ১০ বছর পরে ধাপ পরিবর্তন হবে। আগে যেখানে নবম ও দশম গ্রেড একসাথে চার বছর পরে ধাপ পরিবর্তন করত (সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তির মাধ্যমে) এ ক্ষেত্রে এখানেও বৈষম্যের পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। আবার ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বহাল রাখা হয়েছে।

একই মাসের প্রথম ১৪ দিন শুভ আর বাকি ১৬ দিন অশুভ। না ধরা হয়েছে অর্থবছর (জুন থেকে জুন) না ধরা হয়েছে ক্যালেন্ডার ইয়ার (জানু থেকে ডিসেম্বর), চাকরিজীবীদের ভাগ্য নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে।

সরকারের কাছে অনুরোধ অন্ততপক্ষে জুন ২০১৬ পর্যন্ত (একই অর্থবছর) টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার ব্যবস্থা করুন।

এমনকি কেউ যদি একই স্মারকের নিয়োগে দু-একদিন পরেও যোগদান করে তাদেরও বিবেচনায় নেয়া হোক, তাহলেই পে-স্কেল বাস্তবায়নে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি মনে করি।

Post a Comment

0 Comments