
সরকারি কর্মচারীরা অবসরে গেলে বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি ও বাজারদর অনুসারে চলা মুশকিল হবে—এ কথা বুঝতে পেরেই পে–কমিশনের সুপারিশমতো সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশনের হার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়িয়েছে। তা ছাড়া, পেনশন সমর্পণমূল্যও বাড়ানো হয়েছে। ফলে বর্তমানে যারা চাকরিতে আছেন, তাঁরা বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছেন, সঙ্গে অবসরকালীন সুবিধাও তারা বর্ধিত হারে পাবেন।
সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কিন্তু সরকার ও বেতন কমিশন কী কারণে ধারণা করল যে ভবিষ্যতের পেনশনধারীদের অধিক হারে অর্থের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে যাঁরা পেনশন ভোগ করছেন, তাঁদের সে হারে অর্থ প্রয়োজন নেই। আজকে যিনি অবসরে যাবেন তিনি বর্ধিত বেতনের ৯০ শতাংশ পেনশন পাবেন এবং তার অর্ধেক অধিক হারে বিক্রি করে বাকি অর্ধেক মাসিক পেনশন পাবেন।
অপর দিকে যিনি বর্তমান পে-স্কেল পাওয়ার আগেই অবসরে আছেন, তিনি কম বেতনের আলোকে ও কম হারে (৮০ শতাংশ) পেনশন পেয়ে আসছেন। এই অবস্থায় তার পেনশনের পরিমাণ দ্বিগুণ হলেও একই মর্যাদার যে কর্মচারী এখন অবসরে যাবেন, তিনি তাঁর পেনশনের সমান পাবেন না। অথচ ফিক্সেশন আদেশ মতে দেখা যায়, সরকার পুরোনো পেনশনধারীদের মাত্র ৪০ শতাংশ পেনশন বাড়িয়েছে। আর আরও আগে যাঁরা অবসরে গেছেন, তাদের অবস্থা তো আরও করুণ। কথা হচ্ছে, খরচ বাড়লে সবারই বাড়ে। ফলে সবারই বেতন/পেনশন একই হারে বাড়ানো উচিত।
0 Comments