Type Here to Get Search Results !

Popcash

এক পলকে অনলাইনে এমপিও ফরম পূরণের নিয়ম দেখে নিন

কোন আবেদনকারীকে আর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে হবে না। কারো সাথে যোগাযোগও করতে হবে না। প্রতিষ্ঠান প্রধান অনলাইনে যথাযথভাবে আবেদনটি আপলোড করলেই হলো। আর আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে তা মাউশির পক্ষ থেকে তদারকি করা হয় জানিয়ে এক আঞ্চলিক উপ-পরিচালক বলেন, ড্যাশ বোর্ডে আবেদনটি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকির সুযোগ রয়েছে। ফলে ইচ্ছে করলেই কোন উপজেলা বা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবেদনটি ধরে রাখতে পারবেন না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (কাগজ-পত্র ঠিক থাকলে) তাঁকে আবেদনটি ফরোয়ার্ড করতে হবে। নয়তো (কাগজ-পত্রের ঘাটতি থাকলে) রিজেক্ট করে প্রতিষ্ঠানে ফেরত পাঠাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ফেরত পাঠানোর যৌক্তিক কারণ মন্তব্য কলামে উল্লেখ করতে হবে।
যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের বেতনের সরকারি অংশ (এমপিও) করার জন্য সহজ ধাপসমুহঃ
১. নতুন নিয়মে কোন দালালে হাতে টাকা দেয়ার দরকার নাই। পূর্বে কাগজপত্রের হার্ড কপি ডিও ও ডিজিতে পাঠাতে হত এবং প্রত্যেক স্থানেই ফাইল আটকে রাখত বিদায় উৎকোচ দিয়ে ফাইল চালানো লাগতো, কিন্তু এখন কোন হার্ড কপি পাঠানোর দরকার নেই। কেবল অনলাইনে এমপিওর আবেদন পুরন করে দিতে হবে।
২. অনলাইনে আবেদন ফরম পুরনের জন্য আপনার যা যা দরকার হবে তা জানার জন্য  http://adf.ly/1fYhev ঠিকানা হতে ফরমটি ডাউনলোড করে কয়েকবার পড়ে নিন এবং (*) চিহ্নিত ফিল্ডগুলোতে যা যা চেয়েছে সেই সকল ডোকুমেন্ট রেডি করুন।
ডাউনলোড করতে ৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করে SKIP AD Click করুন
৩. যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জনবল কাঠামো সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে তারা http://adf.ly/1fYhmZঠিকানায় গিয়ে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে কয়েক বার পড়ে নিন। ডাউনলোড করতে ৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করে SKIP AD Click করুন
৪. এমপিও আবেদন পূরণের জন্য আপনার দরকার প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। তিনি আপনাকে সাহায়তা করবেন। তিনি দক্ষ কম্পিউটার অপারেটরের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ডোকুমেন্ট (কাগজপত্র) স্ক্যান করে নিবেন।
৫. প্রথমে http://adf.ly/1fYhqB ঠিকানায় প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করলে এমপিও আবেদন ফরম আসবে। বছরের যে কোনো দিন এমপিওর জন্য অনলাইন আবেদন পাঠানো যায়।
৬. অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণকালীন স্ক্যান করে রাখা (ছবি সহ যা যা দরকার) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যা ২ নং পয়েন্টে বলা হয়েছে) আপলোড করতে হবে। ফরম পূরণ শেষে আবেদনটি প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর ফরোয়ার্ড করবেন/পাঠাবেন।
আপনার বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ শেষ। আর কিছুই করার দরকার নেই।
পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি যে যে প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হবেঃ
১. যেসব আবেদন ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল, জুন, আগস্ট ও অক্টোবর মাসের ১০ তারিখের মধ্যে
• উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে ফরোয়ার্ড করা হবে কেবল সেসব আবেদন পরবর্তী
• (জানুয়ারি, মার্চ, মে, জুলাই, সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর) মাসের জন্য বিবেচনা করা হবে।
২. আবেদনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
৩. মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত আসা আবেদনগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ দশ দিনের মধ্যে (২০ তারিখের মধ্যে) হয়তো ফরোয়ার্ড নয়তো রিজেক্ট করতে হবে (যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে)।
৪. উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে মাসের ২০ তারিখের মধ্যে আসা আবেদনগুলো সর্বোচ্চ দশ দিনের মধ্যে (৩০ তারিখের মধ্যে) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফরোয়ার্ড অথবা রিজেক্ট করতে হবে ।
৫. কোনভাবেই কোন আবেদন ফেলে রাখার সুযোগ নেই। আর ৩০ তারিখের মধ্যে আসা আবেদনগুলো চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য সর্বোচ্চ পনের দিন সময় রাখা হয়েছে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের জন্য। অর্থাৎ পরবর্তী মাসের ১৬ তারিখের মধ্যে এসব আবেদন চূড়ান্ত হবে। আর প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের ঘাটতি থাকলে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকেও আবেদন প্রতিষ্ঠানে ফেরত যেতে পারে।
গত এপ্রিল থেকে এ প্রক্রিয়ায় এমপিও জন্য আবেদন চলছে। কিছুদিন আগেও মাউশির পরিচালক মহোদয় বলেছেন যে, NTRCA কর্তৃক নির্বাচিত শিক্ষকদেরও একই প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.