যদি বলি সমাজটা পচে গেছে ,গলে গেছে হয়তো বা ভুল হবে, কিন্তু আমার কাছে
এই শব্দগুলো থেকে নিকৃষ্ট কোন ভাষা থাকলে আমি সেগুলো ব্যবহার করতাম।
প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের মুল্যবোধের যে কতটা পরিবর্তন ঘটছে
সেটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে আমরা একটি লেখা প্রকাশ করেছিলাম,
সেখানে উল্লেখ ছিলো বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে মনোরঞ্জনের জন্য
সেক্স ডল কতটা জনপ্রিয়! নিজের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য অনেক ছেলে কিংবা
মেয়েই এটা বেচে নিচ্ছে, আর এগুলো ব্যাবহার কিংবা বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও কেও
তা মানছে না। যাহোক এবার মুল প্রসঙ্গে আসি, দিপালী পড়েন মেডিকেল কলেজে,
থাকেন হোস্টেলে, রুমে একা নন, সাথে আছেন আরো কয়েকটি মেয়ে, সবই একই বর্ষের।
ফেসবুকের মাধ্যমে একটি অনলাইন শপে সেক্স ডালের বিজ্ঞাপন দেখে দুই বান্ধবী
মিলে সেটা কিনে নিয়ে আসে। এটা ছিলো পাম্পিং টাইপের অর্থাৎ হাওয়া দিয়ে
ফুলাতে হবে।
যখন এটি বাতাসের সাহায্য বড় করা হবে তখন এটি একটি পুর্নাঙ্গ ছেলের রুপ
নিবে, প্রথমে এটা হোস্টেলে নিয়ে আসার
ঘটনাটি জানাজানি হলে পুরো ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়, মেয়েদেরকে
শোকজ করা হয়। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় চারজন মেয়েকে এক বছরের জন্য
কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে নিষিদ্ধ সামগ্রী রাখার দায়ে, সাথে সাথে
মিডিয়াতে ও বিষয়টি চলে আসে, নড়েচড়ে বসে পুলিশও। নিষিদ্ধ সামগ্রী বিক্রির
জন্য স্কাই বাজার কে জরিমানা করা হয়েছে দুই লক্ষ টা, এবং মালিকের কপালে
জুটেছে এক বছরের জেল। আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে বিঃদ্রঃ- ঘটনাটি বাইরের
হলেও আমাদের সমাজে এই সেক্স ডালের প্রচলন বেশ হারে বাড়ছে, ধনীর ছেলেমেয়েরা
এখন বয়ফ্রেন্ড কিংবা গার্লফ্রেন্ডকে বাদ দিয়ে সেক্স ডলার নিয়ে দিব্যি সময়
পার করছেন।
ভিডিও
পর রুমের অন্য মেয়েরা রিতিমত তাজ্জব
বনে যায়। এভাবেই কিছুদিন এই ডল নিয়ে বেশ মজে ছিলো এই রুমের মেয়েরা। কিন্তু
কথায় আছে না মেয়েরা মেয়েদের শত্রু, অন্য একটি মেয়ে হোস্টেলের ইনচার্জ
ম্যাডাম কে বলে দেয়। ম্যাডাম যথারীতি রাত্রে রুম পর্যবেক্ষণে আসে, ম্যাডাম
প্রথমে এটা দেখে মনে করেছিল কোন ছেলে হবে হয়তো, কিন্তু পরক্ষনেই ম্যাডামের
বুজতে বাকি থাকে না এটি রোমাঞ্চকর সেই ডল। অনেকে এই ছবিটি দেখে রিতিমত
বিস্মিত হবেন, প্রথমে ভাবতে পারেন এটা কোন ছেলে,কিন্তু না ছেলেদের মতোই
দেখতে মেয়েদের মনোরঞ্জনের জন্য তৈরী ডল!