
পে স্কেল নিয়ে চলমান জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। শিগগির
সকলকেই বেতন সুবিধাদি নিশ্চিত করে ঘোষিত বেতনক্রম নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ দূর করা হচ্ছে। গ্রেড-১ ও ২সহ একাধিক গ্রেডের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদোন্নতির বিধিমালা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামোতে সংশোধনী আনা হবে।
অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব
যেসব গ্রেডে ১০০ সদস্য আছেন সেসব ক্যাডারে কমপক্ষে ১টি প্রথম ও ১টি দ্বিতীয় গ্রেডের পদ সৃজন করা হবে। কারিগরি, সমবায়, ইকোনমিক, পরিসংখ্যান ও টেলিকমে মোট ৬টি পদ সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ প্রশাসন বহির্ভূত আলোচ্য ক্যাডারে প্রথম শ্রেণির পদ হবে ৩৮টি। একইভাবে আনসার, সড়ক ও জনপথ, সাধারণ শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, প্রাণিসম্পদ, মত্স্য, ডাক, গণপূর্ত, খাদ্য ও বন ক্যাডারে একটি করে ২য় গ্রেডের মোট ১০টি পদ সৃষ্টি হবে। ফলে এ গ্রেডে মোট পদ সংখ্যা ১০১টি। তবে বাণিজ্য ক্যাডারে কোনো ২য় গ্রেডের পদ থাকবে না।
এ ছাড়া সমবায় এবং পরিসংখ্যান ক্যাডারে ১টি করে তৃতীয় গ্রেডের মোট ২টি পদ সৃজন হবে। এর ফলে ৩ শতাংশ কর্মচারী ৪র্থ গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন। এতে প্রশাসন ক্যাডারে ৫ম গ্রেড থেকে ৪৫টি পদ ৪র্থ গ্রেডে আসবে। কৃষিতে ৩৬টি ৪র্থ গ্রেডের ক্যাডার পদ বহাল রয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় ৪র্থ গ্রেডের পদ হবে ৩০টি। প্রাণিসম্পদ বিভাগে থাকছে ৪০টি ৪র্থ গ্রেডের পদ। মত্স্য ক্যাডারে ২৫টি ৪র্থ গ্রেডের পদ থাকবে। ৪র্থ গ্রেডে বর্তমান পদ সংখ্যা ২ হাজার ২৫১টি। এখন হবে ২ হাজার ৪২৭টি।
এ ছাড়াও ৮ম গ্রেডে ৩ বছর, ৭ম গ্রেডে ৪ বছর, ৬ষ্ঠ গ্রেডে ৫ বছর, ৫ম গ্রেডে ১০ বছর, ৪র্থ গ্রেডে ১২ বছর, ৩য় গ্রেডে ১৪ বছর, ২য় গ্রেডে ১৭ বছর এবং ১ম গ্রেডে ২০ বছর সন্তোষজনক চাকরিকাল পূর্ণ করলে এবং পদশূন্য থাকলে পরবর্তী উচ্চতর স্কেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপনীত হবেন।
0 Comments